হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,
লেখা: মোস্তফা আমিরি
-ইভাঞ্জেলিকাল ভবিষ্যদ্বাণী আমেরিকান ইভাঞ্জেলিকাল সমর্থকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আজ ট্রাম্পের আশপাশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি—যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী—খ্রিস্টীয় জায়নিস্ট।
-এইসব বইতে সাধারণত খ্রিস্টীয় “শেষ সময়ের” বিবরণ উঠে আসে, যার কেন্দ্রে থাকে ফিলিস্তিন-সংক্রান্ত সংঘাত। বেশিরভাগ বইতে বিশ্বাসীদের 'র্যাপচার' (আকস্মিক উত্থান), যুদ্ধের যুগ, এবং শেষে যিশু খ্রিস্টের পুনরাগমনের মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়।
-এই বইগুলির একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো—এগুলোতে খ্রিস্টানদের ইসলামবিরোধিতার দিকে উৎসাহিত করা হয়, এবং “অ্যান্টিক্রাইস্ট” বা দাজ্জালকে এমন একজন হিসেবে দেখানো হয়, যে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়—বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক একটি জোটের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য একটি একক বৈশ্বিক বিশ্বাস ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া।
-দুঃখজনকভাবে, এই লেখাগুলিতে ইসলামের মুক্তিদাতা—ইমাম মাহদী (আ.)—কে বাইবেলের দৃষ্টিতে অ্যান্টিক্রাইস্ট রূপে চিত্রিত করা হয়েছে।
-উদাহরণস্বরূপ, হ্যাল লিন্ডসে-র লেখা The Late Great Planet Earth বইটি একসময় নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার তালিকায় স্থান পায় এবং শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এটির বিক্রি পৌঁছেছিল ৫ কোটি কপিতে [1]।
-এখন আমেরিকায় “খ্রিস্টীয় মেসিয়ানিজম” বিষয়ক কয়েক কোটি কপি বিক্রয়ের তুলনায় ভেবে দেখুন, মুসলিম বিশ্বে “ইসলামী মেসিয়ানিজম” বিষয়ক বই কত হাজার কপি বিক্রি হয়?
-এটি প্রমাণ করে যে আমেরিকান জনগণকে কত দক্ষতার সাথে সাংস্কৃতিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যার ফলে তাদের সরকার নির্দ্বিধায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক আগ্রাসন চালাতে সক্ষম। অন্যদিকে, মুসলমানরা এখনো ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বিধাগ্রস্ত।
-আমেরিকানদের মনোজগতে এই প্রস্তুতি গড়ে তোলা হয়েছে—বই, প্রবন্ধ ও অবশ্যই হলিউড প্রযোজনা দ্বারা।
পাদটীকা:
1. Religious Developments in Judaism and Christianity at the Beginning of the Third Millennium, পৃষ্ঠা ৮০।
সম্পর্কিত শিরোনাম:
আমেরিকা ও “ফিলিস্তিনের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ”
অনুবাদ: আম্মার সাবিল
আপনার কমেন্ট